বিদ্যুৎ সভ্যতার চাবিকাঠি এবং আর্থ সামাজিক উন্নয়নের পথিকৃত। এ বাস্তবতাকে উপলব্ধি করে দেশের গ্রামীণ জনগণের জীবনমান ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ৩১ শে অক্টোবর ১৯৭৭ সালে জারীকৃত মহামান্য রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশবলে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়। সমবায়ের সার্বজনীন নীতিমালা এবং “লাভ নয় লোকসান নয়” এ দর্শনের উপর ভিত্তি করে এবং গ্রাহকগণকে সমিতির প্রকৃত মালিকানার স্বীকৃতি দিয়ে এ যাবত দেশের ৪২৫ টি উপজেলার সমন্বয়ে ৭২ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গঠিত হয়েছে।
গ্রামই জাতীয় উন্নয়নের প্রাণ কেন্দ্র। গ্রাম-বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবহেলিত অনগ্রসর ও দরিদ্র জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের দৃঢ় প্রত্যয় নিয়েই পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম শুরু হয়। সেই মহৎ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই ১৯৯৬ সালে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২এর যাত্রা শুরু হয়।
গ্রামীন উন্নয়ন ও কৃষি বিপ্লবের জন্য সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির ১৬নং অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়। নগর ও গ্রামাঞ্চলের জীবন যাত্রার মানের বৈষম্য ক্রমাগতভাবে দূর করিবার উদ্দেশ্যে কৃষি বিপ্লবের বিকাশ, গ্রামাঞ্চলে বৈদ্যুতিকরনের ব্যবস্থা, কুটির শিল্প ও অন্যান্য শিল্পের বিকাশ এবং শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও জনস্ জনস্বাস্থের উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের আমূল রূপান্তর সাধনের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করিবেন এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৭ সালে ২৯শে অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড অধ্যাদেশ অনুমোদন লাভ করে এবং ৩১শে অক্টোবর গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
-> অবাধ ও স্বেচ্ছাপ্রণোদিত সদস্যতা,
-> তৃনমূল পর্যায়ে গণতান্ত্রিক চর্চা,
-> লাভ নয় লোকসান নয় ভিত্তিতে পরিচালিত,
-> অবিরত শিক্ষা,
এই ৪টি মূলনীতি অনুসরনে প্রাথমিক ভাবে ১৩টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নিয়ে ০২/০১/১৯৮০ ইং তারিখ USAID এর সহায়তায় আনুষ্ঠানিক বিদ্যুতায়ন শুরু হয়।
পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে কুয়েতী সাহায্য সংস্থা KFAED ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে।
* অত্র সমিতির আওতায় প্রায় ৯০% গ্রাম বিদ্যুতায়ন করা হইয়াছে।
* সমিতির ভৌগলিক এলাকায় ২৪৫২ টি সেচ পাম্প বিদ্যুতায়ন করা হইয়াছে।
* বিদ্যুতায়িত পাম্পের মাধ্যমে প্রায় ২৩৬৩০ একর জমি সেচ সুবিধার আওতায় আসিয়াছে।
* সমিতি ভৌগলিক এলাকায় ছোট বড় ২২৫৩ টি শিল্প কারখানায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হইয়াছে।
* এই সকল শিল্প কারখানার আওতায় প্রায় ৯০১২ জন লোকের কর্ম সংস্থান হইয়াছে।
* এই সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানের বানিজ্যিক কার্যক্রম প্রসারের ফলে আরো অতিরিক্ত কর্ম সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হইয়াছে। সেচ পাম্পের পাশাপাশি ৬২ টি মৎস প্রকল্প ও ৫৮৩ টি পোলট্রি ফার্মে সংযোগ প্রদানের ফলে অত্রাঞ্চলে প্রোটিনের চাহিদা পূরন পূর্বক দেশের সকল এলাকায় প্রোটিনের চাহিদা অনেকাংশে মিটানো সম্ভব হইয়াছে।
পল্লী বিদ্যুতায়ন কর্যক্রমের ফলে গ্রামাঞ্চলে কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধি পাইয়াছে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS